SATT ACADEMY

New to Satt Academy? Create an account


or

Log in with Google Account

এসএসসি(ভোকেশনাল) - শ্রিম্প কালচার এন্ড ব্রিডিং-১ - দ্বিতীয় পত্র (দশম শ্রেণি) | NCTB BOOK
  • পোনা মজুদ করার পরদিন থেকে চিংড়িকে সাধারণত প্রাকৃতিক ও সম্পুরক খাদ্য সরবরাহ করা হয়। প্রাকৃতিক খাবার হিসেবে ভাসমান শৈবাল গ্রহণ করে থাকে।
  • নার্সারি পুকুরে সাধারণত সম্পূরক খাদ্য হিসেবে চিংড়ির পোনাকে শামুকের মাংস, চুর্ণকৃত কাঁচা মাছ ইত্যাদি পোনার দেহ ওজনের শতভাগ হারে প্রয়োগ করা যেতে পারে। পরবর্তী মাসে খাদ্য প্রয়োগ মাত্রা পোনার দেহ ওজনের ২৫% এ কমিয়ে আনতে হবে। “নার্সারি খাদ্য” পোনার দেহ ওজনের ১৫-২৫% হারে দৈনিক ২-৪ বার দেয়া যেতে পারে।
  • চিংড়ির খাদ্যে ৪০-৫০% আমিষ, ২০% শর্করা, ৫-১০% চর্বি এবং ভিটামিন ও খনিজ ২% হারে থাকা উচিত।

সারণি: চিংড়িকে পিলেট বা বাণিজ্যিক খাবার প্রদানের তালিকা

  •  চিংড়ির দেহ ওজনের (চিংড়ির ওজন ৫ গ্রাম) ৫০% খাদ্য প্রদান করতে হবে এবং পরবর্তীতে তা -৪% এ কমিয়ে জানতে হবে। তবে খামারের বিভিন্ন স্থানে খাদ্য প্রদানের এই স্থাপন করে চাহিদা বা প্রয়োজন অনুযায়ী খাদ্যের পরিমাণ কম বেশি করা যায়।
  •  উপযুক্ত পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ খাবার সঠিক পরিমাণে সঠিক সময়ে প্রদান করতে হবে।
  • প্রতি ১০-১৫ দিন পর পর খামারের চিংড়ির নমুনায়ন করে খাদ্যের পরিমাণ পুনঃনির্ধারণ করা উচিত। ।
  • দিনের সব খাবার একবারে না দিয়ে যার যার প্রয়োগ করতে হবে এবং রাতের বেলা বেশি দিতে হবে । 
  • প্রয়োজনের অতিরিক্ত পাবার প্রদান করা হলে তা পুকুরের তলার জমা হয়ে অনাকাঙ্ক্ষিত গ্যাস, যেমন- হাইড্রোজেন সালফাইড ও অ্যামোনিয়ার সৃষ্টি করে এবং পানির গুণাগুণ নষ্ট করে।

চিত্র-০.৬ নার্সারি পুকুরে খাদ্য প্রয়োগ

Content added By